কেন হঠাৎ সেনাবাহিনীর বি'রুদ্ধে প্রো'পাগা'ণ্ডা ছড়ানো হচ্ছে ?

ছবি দেখুন- এটা কেমন কথা? পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর পুরো সেনাবাহিনী নাকি ভা রতের খাস চাকর। (আমার দেশের নামে ফেক পেইজ) আমি ব্যক্তিগত ভাবে অনেক সেনা সদস্য ও অফিসারকে চিনি, যারা ভা রতের ঘোর বিরোধী ও বিদ্বে ষী। সেনাসদস্যদের ট্রেনিং এর সময় ভারতবিরোধীতার ট্রেনিং দেয়া হয়। এ কারণে বাংলাদেশের সব সেক্টর থেকে সেনাবাহিনীতে হেদু সদস্য সবচেয়ে কম। এ কারণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপর ভার তীয়রা অতিমাত্রায় ক্ষি প্ত। আর পিলখানা হ ত্যাকা ণ্ড যদি ভারতের ইশারায় ঘটে থাকে, তবে সেনাবাহিনীর তো ভা রত বি দ্বেষ বৃদ্ধি পাওয়ার কথা। আপনার বাবার খু নিকে আপনি ভালোবাসেন নাকি খু নির দাস হয়ে যান ? আসলে এ ধরনের প্রোপাগাণ্ডার পেছনে বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে। তবে আমার মনে হয়, এখন যে কাউকে ভারতীয় ট্যাগ দেয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে, যে যেন অন্তত ট্যাগিং এড়ানোর জন্য মার্কিনপন্থী হয়। মনে করে দেখুন, আওয়ামীলীগের আমলে কাউকে ভিন্নমত মনে হলেই পাকিস্তানী ট্যাগ দেয়া হতো। দেখা যেতো, সবাই সেই ট্যাগ খাওয়া থেকে বাচতে রবীন্দ্রনাথের গান গাইতো, কপালে বড় টিপ পড়তো, হিন্দু য়া নী হয়ে ভারতপন্থী হতে চাইতো। এখন শুরু হয়েছে ভারতীয় ট্যাগ দেয়া ? উদ্দেশ্য হচ্ছে, আপনি যেন ভারতীয় ট্যাগ খেয়ে আমেরিকাপন্থী হয়ে যান। আর বাংলাদেশের ইন্টারিম গভঃ এ সবাই এখন প্রকাশ্য আমেরিকাপন্থী, এটা তো সবাই জানে। তারমানে বুঝা যাচ্ছে, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এ ধরনের প্রোপাগান্ডার কারণ হচ্ছে, সেনাবাহিনী যেন আমেরিকাপন্থী হয়। তাহলে তাকে আর ভারতপন্থী ট্যাগ দেয়া হবে না। কিন্তু এই সময়ে এ কথা কেন ? শুনেছি আগামী ২৬ মার্চ প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর। আচ্ছা চীনের সাথে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সম্পর্ক কী ? বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সবচেয়ে বড় অ স্ত্র ও প্রযু্ক্তি বিক্রিকারক দেশ হচ্ছে চীন। বাংলাদেশের উচ্চাকাঙ্ক্ষী সামরিক আধুনিকীকরণ টার্গেট—‘ফোর্স গোল ২০৩০’ চীনের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় তৈরী হবে। এর জন্য বেইজিং বাংলাদেশকে রাইফেল, রকেট লঞ্চার, ম্যানপ্যাড, হালকা ইউটিলিটি যানবাহন ইত্যাদির মতো ছোট ও মাঝারি আকারের অ স্ত্রের জন্য বাংলাদেশ অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি এবং বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিকে প্রযুক্তি স্থানান্তর করেছে, যা একটি দেশীয় প্রতিরক্ষা শিল্প ঘাঁটি (ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল বেস) গড়ে তোলার লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা। গত ১১ মার্চ, ২০২৫ তারিখ প্রকাশিত ‘ন্যাশনাল ইমেজ অব চায়না ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক গবেষণাপত্রে এ তথ্য জানানো হয়। (তথ্যসূত্র: ১) আচ্ছা আমেরিকা কী বাংলাদেশে অস্ত্র বিক্রি করতে চাইছে ? গত ১৭ মার্চ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সিনেটর গ্যারি চার্লস পিটার্স ঢাকায় এসেছিলো। সিনেটর পিটার্স হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ক্রয়সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান। দৈনিক ইত্তেফাক বলছে, তার পক্ষ থেকে অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব দেয়ার কথা। (তথ্যসূত্র: ২) তারমানে খুব কাছাকাছি সময়ে দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ সেনাবাহিনীর কাছে অ স্ত্র বা অ স্ত্র প্রযুক্তি বিক্রি করতে চাইছে। এবং বিক্রির উদ্দেশ্যেই সেনাবাহিনীকে একটি পক্ষ নিতে বাধ্য করতে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রোপাগাণ্ডা ছড়ানো হচ্ছে। উদ্দেশ্য সেনাবাহিনী যেন ভারতীয় ট্যাগিং থেকে বাচতে মার্কিনপন্থী হয়। এক্ষেত্রে বলা যায়, বর্তমান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারে মার্কিন অ স্ত্র কোম্পানিগুলোর ইনভেস্ট আছে। মার্কিন অ স্ত্র কোম্পানির টাকা খেয়ে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে কিছু লোক। হয়ত বলতে পারেন, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তো বলা হচ্ছে না। বলা হচ্ছে সেনা প্রধানের বিরুদ্ধে। আসলে অস্ত্র ক্রয়ের জন্য সেনা প্রধান ও তার ঘনিষ্ঠজনদের সিদ্ধান্তই তো চূড়ান্ত। সুতরাং সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধেই তো কথা হবে। এরপর ধীরে ধীরে সবার দিকে হবে। দেখুন, আমাকে ষ ড় যন্ত্র তত্ত্বকারী বলে লাভ নেই। আমি তথ্য প্রমাণ দিয়েই কথা বলি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের অস্ত্র বিক্রির প্রতিযোগীতা বা প্রতিদ্বন্দ্বীতা সম্পর্কে যদি আপনার ধারণা না থাকে, তবে জেনে নিবেন। কোন দেশকে নিজ দেশের অস্ত্র কেনাতে এবং প্রতিপক্ষ থেকে ফেরাতে তারা কতকিছু করে। তখন খুব সহজেই বুঝবেন, বাংলাদেশে কেন এখন এমন পরিস্থিতি হচ্ছে।


No comments

Powered by Blogger.